স্বদেশ ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের মধ্যে উত্তেজনার মধ্যেই দুই দেশের প্রেসিডেন্টের মধ্যে রোববার গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা জানান, রোববার রোমে জি-২০ সম্মেলনের পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোগানের মধ্যে অত্যন্ত গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। যদিও ওয়াশিংটন ও আঙ্কারা’র মধ্যে বেশ উত্তেজনা ও কৌশলগত উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বাইডেন প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, তুরস্কের সাথ গঠনমূলক সম্পর্ক গড়তে এবং মতানৈক্য দূর করার যথাযত পন্থা খুঁজে পেতে, প্রেসিডেন্ট তার ইচ্ছার কথা স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেছেন।
কর্মকর্তা জানান, তাদের আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত ছিল আফগানিস্তান, সিরিয়া, লিবিয়া, দক্ষিণ ককাস, জলবায়ু পরিবর্তন,মানবাধিকার প্রসঙ্গ এবং যুক্তরাষ্ট্রের এফ-১৬ জঙ্গি বিমান কেনার অনুরোধের মতো বিষয়।
কর্মকর্তা জানান, জঙ্গি বিমান ক্রয়ের ব্যাপারে, বাইডেন অত্যন্ত পরিষ্কার যে বর্তমানে নেয়া একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিষয়টি ভেবে দেখা হচ্ছে।
২০১৯ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনে রাশিয়ার এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার জন্য পেন্টাগন তুরস্ককে এফ-৩৫ বিমান ক্রয় থেকে বাদ দিয়ে দেয়। আঙ্কারা এখন লকহিড মার্টিনের প্রস্তুতকৃত ৪০টি এফ-১৬ জঙ্গি বিমান এবং তাদের বর্তমান বিমান বাহিনীর জঙ্গি বিমানের জন্য ৮০টি আধুনিকায়ন কিট সরঞ্জাম কিনতে আগ্রহী।
যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা বাইডেন প্রশাসনকে তুরস্কের কাছে এফ-১৬ বিমান বিক্রয় না করার অনুরোধ জানিয়েছেন। তাদের কথায়, ‘আঙ্কারা শত্রুর মতো আচরণ করেছে।’
সেন্টার ফর স্ট্রাটেজিক এন্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজে ইউরোপ, রাশিয়া ও ইউরেশিয়া প্রোগ্রাম বিষয়ে উপ-পরিচালক, রেইচেল এলেহুস বলেন, ‘একটি নেটো মিত্রের কাছ থেকে কোনো আচরণ কতটুকু গ্রহণযোগ্য বা গ্রহণযোগ্য নয়, তুরস্ককে সেই বার্তা দিতে এই বৈঠক বাইডেনের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।’
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা